সালেহ্ বিপ্লব: [২] ড. হাছান মাহমুদকে প্রশ্ন করা হয়, মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে চীন, ভারত ও রাশিয়া যোগাযোগ করছে। বাংলাদেশ কি কোনো যোগাযোগ করেছে? এর জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের মধ্যে আছি। মিয়ানমারে যা ঘটছে, সেটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সূত্র: রেডিও টুডে

[২.১] সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ড. হাছান মাহমুদ। সমসাময়িক বিষয়ে প্রশ্নের জবাব দেন। 

[৩] মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরো জোরালো হবে। 

[৩.১] যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশসহ শীর্ষ পাঁচ দেশের বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে দেশটির আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কমিশন (ইউএসআইটিসি)। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তদন্ত করছে, কথাটা সঠিক নয়। তাদের সঙ্গে লেবার রাইটসের উন্নয়ন নিয়ে আমাদের সঙ্গে বহুদিন ধরে আলাপ-আলোচনা চলছে এবং সেই আলাপ-আলোচনার অংশ হিসেবে কয়েকটি সংস্থা আমাদের সঙ্গে বসেছে। লেবার রাইটস নিয়ে এটা রেগুলার প্রসেস। এটা আগেও হয়েছে। অর্থাৎ কর্মপরিবেশ উন্নয়ন, শ্রম পরিবেশ উন্নয়ন। এ নিয়ে আমাদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা আছে, চলছে।

[৪] প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের চিঠি ও সরকারপ্রধানের চিঠির ফিরতি জবাবের প্রসঙ্গ টানেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চিঠি লিখে দু’দেশের সম্পর্কে দ্বিতীয় পর্যায়ে এবং নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। প্রধানমন্ত্রীও ফিরতি চিঠিতে সম্পর্ক উন্নয়নের কথা, আরও দৃঢ় করার কথা, বহুমাত্রিক করার কথা বলেছেন। আমাদের সম্পর্ক ভবিষ্যতের দিনগুলোতে আরও সুন্দর হবে, আরও দৃঢ় হবে, এগিয়ে যাবে।

[৫] এ মাসের শুরুর দিকে তুরস্কের আনাতোলিয়ায় সেই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর স?ঙ্গে বৈঠক ক?রেন ড. হাছান মাহমুদ। প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তুরস্ক থেকে কিছু ড্রোন ও সামরিক সরঞ্জাম কিনেছি। সেটি আমাদের চলমান প্রক্রিয়া। আমরা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও বাণিজ্য নিয়ে আলাপ করেছি। কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করিনি।

[৬] এদিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তার দপ্তরে সাক্ষাৎ করেন বেলারুশের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপমন্ত্রী শেস্তাকভ এবং শ্রীলংকার হাইকমিশনার ভীরাক্কোডি। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী